ক্যাপোসিস সারকোমা-টিউমার ও আলসার
ডা. মো. ফারুক হোসেন
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৬:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ক্যাপোসিস সারকোমা বিরল ধরনের ক্যান্সার, যা মুখ ও ত্বককে আক্রান্ত করে থাকে। এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ক্যাপোসিস সারকোমা হয়ে থাকে হিউম্যান হারপিস ভাইরাস ৮ দ্বারা, যা ক্যাপোসিস সারকোমা সম্পৃক্ত হারপিস ভাইরাস নামেও পরিচিত। ডিসিমিনেটেড ক্যাপোসিস সারকোমা এইডস রোগে মৃত্যুর প্রধান কারণ। ধারণা করা হয়- ক্যাপোসিস সারকোমা সৃষ্টিকারী এ ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করে যৌন মিলনের সময় লালার মাধ্যমে বা জন্মের সময় মায়ের কাছ থেকে শিশুতে বিস্তার লাভ করতে পারে।
লক্ষণ ও চিহ্ন: ক্যাপোসিস সারকোমা প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথামুক্ত থাকে। মিউকোসা এবং মাড়িতে পিগমেন্টেশন থাকে; যা সমান থাকে। যখন রোগটি আকৃতিতে বৃদ্ধি পায় তখন আক্রান্ত স্থান সমান থেকে উঁচু হয়ে যায়। বড় ধরনের সংক্রমণ বা লিশনের কারণে কথা বলতে এবং খেতে সমস্যা হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে স্থানটিতে আলসার বা ঘা দেখা যায়; যার কারণে অনবরত ব্যথা হয়ে থাকে। ক্যাপোসিস সারকোমা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তালুতে। ক্যাপোসিস সারকোমা কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার হতে পারে। সংখ্যায় একটি বা একের অধিক হতে পারে। আলসার বা ক্ষতস্থানের ফ্লোর ধূসর, পচনশীল এবং রক্ত বের হতে পারে। আলসার বা ক্ষতের কিনারা লাল বর্ণের হয়ে থাকে; কিন্তু কোনো ইনডুরেশন বা শক্তভাব থাকে না।
ক্যাপোসিস সারকোমা প্রাথমিক অবস্থায় সমান থাকে। সংক্রমণ ও আকৃতিতে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিউমার নডুলার হয়ে থাকে এবং সমান অবস্থা থেকে উঁচু হয়ে থাকে। সংক্রমণ যখন অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকে তখন মধ্যবর্তী এলাকা আলসারযুক্ত দেখাতে পারে। রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বায়োপ্সি ও হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। এক্সরেও করা যায়। কিন্তু এক্সরে সংযুক্ত দাঁতের হাড়ের ক্ষয় করতে পারে। তাই মুখের অভ্যন্তরে তালুতে আলসার দেখা দিলে গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। শুধু তালু নয় বরং মুখের অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানে আলসার দেখা দিলে ভিটামিন না খেয়ে আগে আলসার বা ঘা কেন হলো তা জেনে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ভালো হয়। এতে সময় ও জীবন দুটোই রক্ষা পাবে।
লেখক: মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
dr.faruqu@gmail.com
